Skip to main content

আবু সাঈদ হত্যায় রংপুরে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে

                 রংপুরের রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ ১৬ জুলাই পুলিশের কাছ থেকে রাবার     
                বুলেট ছুড়লে হাত ছড়িয়ে পড়ে। ছবিটি যমুনা টেলিভিশনের ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া।


রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় এক সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন রনপগুড় পুলিশ লাইন্সের এএসআই আমির হোসেন ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

শটগান থেকে গুলি চালানোর কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ১৮ জুলাই আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোঃ সাইফুজ্জামান ফারুকী।

কমিটি ১৮ জুলাই আংশিক প্রতিবেদন জমা দেয়। আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের 'অপেশাদার আচরণ' প্রমাণিত হওয়ায় এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, এএসআই আমির হোসেন ও তাজহাট থানার কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ঘটনার দিন দায়িত্ব পালনকালে অপ্রস্তুত আচরণ করেন। এটা সুশৃঙ্খল বাহিনীর শৃঙ্খলার পরিপন্থী হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্বে অবহেলা দেখিয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। সাময়িক বরখাস্তের পর তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গত ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ-ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের ছাত্র আবু সাঈদ।

ঘটনার একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘সম্পূর্ণ হরতাল’ কর্মসূচি চলাকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশ আবু সাঈদকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। আবু সাঈদ এক হাতে লাঠি ধরে দু-হাত ছড়িয়ে দিলেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তিনি ভেঙে পড়েন।

Comments